মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। সেনা নেতৃত্বকে জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী সু চি এবং দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর কয়েক ঘণ্টার পর সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে শীর্ষ জেনারেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়া হয়।
গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজেরিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব মিয়ানমারের পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর আগ মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।’ সামরিক অভ্যুত্থানকে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতি মারাত্মক আঘাত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ‘সব নেতাদের মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের বৃহত্তম স্বার্থে কাজ করতে হবে, অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নিতে হবে, সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাকে পুরোপুরি সম্মান করতে হবে।’ সামরিক নেতৃত্বকে তিনি ‘মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ঘিরে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পর দেশটিতে অভ্যুত্থান ঘটলো।
আরও পড়ুন:
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান, জরুরি অবস্থা জারি
মিয়ানমারে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সেনা বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
সু চি-কে ছেড়ে না দিলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
মিয়ানমারের ব্যাংকগুলোতে সব ধরনের আর্থিক পরিষেবা স্থগিত
সু চিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী