X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

তুমব্রু শূন্যরেখার আরও ২৭৬ রোহিঙ্গাকে উখিয়ায় স্থানান্তর

টেকনাফ প্রতিনিধি
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:০১আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:০১

তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ির তুমব্রুতে থাকা আরও ২৭৬ রোহিঙ্গাকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজার থেকে বাসে করে উখিয়া কুতুপালং ট্রানজিটে পৌঁছেন তারা।

এর আগে গত রবি ও সোমবার দুই দিনে ৮৯ পরিবারের ৪৫৩ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তুমব্রুতে থাকা আরও ৫১টি রোহিঙ্গা পরিবারকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার কাজ চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রবি, সোম ও বুধবার তিন দিনে মোট ১৯২ পরিবারের ৭২৯ রোহিঙ্গাকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।

সীমান্ত বসবাসকারীদের মতে, নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গারা দলে দলে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢোকার সময় অনেকে আটকা পড়েন দুই দেশের মাঝামাঝি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ডে। পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার সেখানে বসবাস করেছিল সাড়ে পাঁচ বছর ধরে। সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। গত ১৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত হন, শিবিরে আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি হারিয়ে তুমব্রু গ্রামে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি একটি কমিটি ওই রোহিঙ্গাদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা নুর বশর বাসে করে কুতুপালংয়ে যাত্রাকালে বলেন, ‘ঘর নেই, বাড়ি নেই। আগুনে সব পুড়িয়ে ফেলেছে। কোনও মালপত্র রক্ষা করতে পারিনি। কিছু নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এমনকি বিছানার চাদর-বালিশ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে শূন্য হাতে পালিয়ে বাঁচতে শূন্যরেখায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন সেখান থেকে নিঃস্ব হয়ে শূন্যহাতে কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে ঠাঁই হবে।’

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আগে থেকে ডাটা অন্তর্ভুক্ত আছে, তাদের সেসব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। বাকিদের নতুন করে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ও ছবি তোলার কাজ শুরু করা হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রুতে থাকা বাকি রোহিঙ্গাদের একই প্রক্রিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

/এমএএ/
সম্পর্কিত
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩১৬ কোটি টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
নাফ নদে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত
ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৪০ রোহিঙ্গা সীতাকুণ্ডে আটক
সর্বশেষ খবর
খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা গ্রেফতার
খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা গ্রেফতার
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দুই দিন পেছাচ্ছে!
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দুই দিন পেছাচ্ছে!
কিবরিয়া হত্যা ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও ৭ জন
কিবরিয়া হত্যা ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও ৭ জন
সিঙ্গাপুর থেকে আসবে ৫৮৪ কোটি টাকার এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে আসবে ৫৮৪ কোটি টাকার এলএনজি
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি
হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি