রাজধানীর পূর্বাচলের বাংলাদেশ চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে মাসব্যাপী ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আজ শুক্রবার ছুটির দিন উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়। এতে বিক্রি বেড়েছে স্টলগুলোতে।
বাণিজ্য মেলার ১৭ম দিনে সকাল থেকেই মেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশের পর দেখা গেছে লোকে লোকারণ্য। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে। অনেকে পছন্দের পণ্যটি খুঁজছেন এবং কেনাকাটা করছেন। গৃহস্থালির সামগ্রী, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রসহ প্রায় সবকিছুতেই ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে।
মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেলা প্রাঙ্গণে মোতায়েন রয়েছেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে করা হয়েছে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।
প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।
এ বছর মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে রয়েছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের জন্য রয়েছে শিশু পার্কও।