রবিবার (৬ জুন) ভোররাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন নগরীর নিচু এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া সড়কে যান চলাচল কমে যাওয়ায় কোমর পানি ভেঙে অফিস ও বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছেছেন নগরবাসী।
নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভোররাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সিডিএ আবাসিক এলাকার কিছু কিছু জায়গায় কোমর পরিমাণ পানি উঠেছে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দারা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।
একই অবস্থা নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সসেস রোড, রামপুর, সরাইপাড়া, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, অক্সিজেন মোড়, চকবাজার, বহদ্দারহাট, চাক্তাই, বাকলিয়া, গোসাইলডাঙাসহ অধিকাংশ এলাকার। এসব এলাকায় সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি জমায় বেড়েছে নাগরিক ভোগান্তি। এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার নগরীর খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায়ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার দোকান-পাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাসার সামনের গলিতে হাঁটু পরিমাণ পানি। নিচুস্থানে এর চেয়ে অনেক বেশি পানি। গলি পার হলে বহদ্দারহাট-মুরাদপুর মূল সড়ক। ওই সড়কের অবস্থা আরও বেহাল। ওই সড়কের কিছু জায়গায় কোমর পরিমাণ পানি। বেলা সাড়ে ১১টায় তার একটি মিটিং ছিল। কিন্তু বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারণে ওই মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান তিনি।
শুধু মোরশেদ তালুকদার নয়, সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় তার মতো অনেকে অফিস আদালতে যেতে পারেননি। যারা গিয়েছেন তাদেরকেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যান চলাচল কমে যাওয়ায় অনেকেই পানির মধ্যেই হেঁটে, রিকশা-ভ্যানে অফিসে গিয়েছেন।
ষোলশহর হিলভিউ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আবুল মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগ্রাবাদ অফিসে যেতে বের হয়েছিলাম। দুই নম্বর গেইট এলাকায় গিয়ে দেখি কোমর পরিমাণ পানি। পানি ভেঙে অনেক কষ্ট করে অফিসে পৌঁছান বলে জানান তিনি।