কোনও ফোনকল নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করেনি বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) নির্বাচনের সরকারি ফলাফল ঘোষণার সময় তিনি এ দাবি করেন। পাশাপাশি সিটি নির্বাচনের ফল প্রকাশ নিয়ে ওঠা নানা প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফল প্রকাশে ফোনকলের কোনও বিষয় ছিল না। ফল প্রকাশ কেন্দ্রের পরিস্থিতি জানাতে আমি সিইসি, ডিসি ও এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখনও তো আমার একটা কল আসতে পারে। মোবাইল ফোন থাকলে কল তো আসবেই। আমি যতদিন এখানে ছিলাম সততার সঙ্গে কাজ করেছি।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, গতকাল (বুধবার) যখন ফল প্রকাশে গেছি, নৌকার ব্যাজ যতগুলো ছিল আমি সবগুলো নিয়ে এসেছি। আমার বলতে কোনও দ্বিধা নেই। যারা রাস্তায় নৌকার ব্যাজ পরে ছিল আমি তাদের কাছ থেকেও তা নিয়ে নিয়েছি। আপনারা চাইলে দেখাতে পারবো।
ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ফল আসতে দেরি হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ফল প্রকাশের সময় বাইরে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলাফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হয়েছে বলা যায়। এছাড়া ইলেকট্রিসিটিও ছিল না কিছু সময়। তার ওপর দুই প্রার্থীর সমর্থকরা হলরুমে ঢুকে পড়ায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এছাড়া কিছু কেন্দ্রের ফল আসতেও দেরি হয়েছে। তাই ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে।’
ফল ঘোষণা কেন্দ্রে গণপ্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো কাউকে আটকে রাখতে পারবো না। আমি চাই সবাই দেখুক এখানে কি হচ্ছে। আমি স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী ছিলাম।’
ফলাফল ছিনতাই হয়েছে, মনিরুল হক সাক্কুর এমন অভিযোগে তিনি বলেন, ‘তাদের হাতে তো রেজাল্ট শিট ছিল। ফল ঘোষণার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন। তখন কেন অভিযোগ করলেন না।’
এ সময় তিনি যে চারটি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেই কেন্দ্রগুলোর ফলাফলের নথি হাতে নিয়ে দেখিয়ে বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে এই নথি মিলিয়ে দেখেন কোনও ঘষা-মাজা আছে কিনা। সেখানে কোনও অমিল থাকলে আমাদের বলতে পারতেন।
এরপর আরফানুল হক রিফাতকে সরকারিভাবে মেয়র ঘোষণা করে ফল প্রকাশ করা হয়।