চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় মোহাম্মদ জুবাইর নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর আট মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামের ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে ওই শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেনের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে।
চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত বছর ঈদুল ফিতরের দিনে ওই শিশুর লাশ দাফন করা হয়। লাশ দাফনের তিন মাস পর শিশুটির বাবা মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন ছেলে জুবাইরকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে শিশুটির মা শামছুন নাহার আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু জুবাইরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশু জুবাইরের পিতা ফকরুদ্দীন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিশু জুবাইরের মা শামছুন নাহারের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা গ্রামে। বাবা ফখরুদ্দীনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার দারোগাহাট এলাকায়। ফখরুদ্দীন শামছুন নাহারকে বিয়ে করে রাউজান উপজেলা উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া এলাকার হাজী শফির ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আট মাস আগে জুবাইরের মৃত্যু হলে তাকে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, জুবাইরকে হত্যা করেছে আমার স্বামী ফখরুদ্দীন। অথচ প্রচার করেছে জুবাইর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে কবর দেওয়া হয়েছে। আমাকে মৃত্যুর বিষয় প্রকাশ না করতে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ভয়ে এতদিন নীরব ছিলাম। গত কয়েক মাস আগে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।