কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারণায় গিয়ে শোকজ পেয়েছেন এক প্রিজাইডিং অফিসার কলেজশিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে শোকজ করেছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব কুমার দেব। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এই শোকজ করেন তিনি।
শোকজ পাওয়া ওই শিক্ষক কুমিল্লার লালমাই উপজেলার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম।
নোটিশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারে (২৬ ডিসেম্বর) সামাজিকমাধ্যম, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মোবাইল ফোন মারফত তথ্য অনুযায়ী আপনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা করেছেন। ২৫ ডিসেম্বর ওই আসনের লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের হাজতখোলা বাজারে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে ও ছোট ভাই গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। প্রচারকালে আপনার হাতে নৌকার লিফলেট ছিল। আপনি প্রার্থীর মেয়েকে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘ওরা আমাদের দলের লোক।’ আপনি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে, প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন। আপনার অনুরূপ কার্যকলাপ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশের পরিপন্থি। এতে আপনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবরে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি কুমিল্লা-১০ এর অস্থায়ী কার্যালয় সহকারী জজ আদালতে (বরুড়া) সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মো. আব্দুল হালিমকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও এসব বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।