চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। কাশির সিরাপের সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে সেবনের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রহমত উল্লাহ।
মারা যাওয়া দুই জন হলেন- হাটহাজারী বাজারের সবজি বিক্রেতা রাসেল (১৮) ও সবজির দোকানের কর্মচারী শাকিল (১৪)। রাসেল পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড দেওয়াননগর এলাকার হামিদ আলী তালুকদার বাড়ির আব্দুস শুক্কুরের ছেলে এবং সবজির দোকানের কর্মচারী শাকিল একই এলাকার সিদ্দিক আহমেদ বাড়ির মৃত ইলিয়াসের ছেলে।
রবিবার (২৩ জুন) সকালে হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিমে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (কৃষি ফার্ম) উত্তরে কর্মচারীদের আবাসিক সংলগ্ন এলাকায় তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া রাসেলের ভগ্নিপতি হাবিব জানান, দুইজন শনিবার রাতে স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে কাশির সিরাপ কিনে নিয়ে যায়। এর সঙ্গে তারা নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে সেবন করে। এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় দুই জনকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চমেক হাসপাতালে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করার কারণে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সোহেল নামে এক ব্যক্তি তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে হাসপাতালে আনা সোহেল জানিয়েছেন, হাটহাজারী থানাধীন লঙ্গিপাড়া দেওয়ান নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অজ্ঞাত কারণে তারা বিষপান করে। চমেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে ১৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।