ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকের নাম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান তিনি। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই কর্মীকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মাহমুদ তার মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে কে এম বশির উদ্দিন তুহিন ও তার সমর্থকরা ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় বশির ওই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে রড দিয়ে আঘাত করেন, পরে তার অনুসারীরা রড চাপাতি দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আক্রমণ করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম বলেন, মাহমুদের ওপর যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি জানার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এমন ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।
এদিকে জেলার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দুই কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় মহসিন ও শাহআলম গ্রুপের লোকজন একসঙ্গে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ হয়। পরে এই নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।