ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় অন্তত ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৭ জনকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার চাপরতলা গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে ফকির গোষ্ঠীর বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের মোল্লাবাড়ী গোষ্ঠীর আকাশের বাদানুবাদ হয়। পরে তা ঝগড়াতে রূপ নেয়। এ নিয়ে গতকাল রবিবার প্রথম দফায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফকির গোষ্ঠী ও মোল্লাবাড়ী গোষ্ঠীর অন্তত ১০ জন আহত হয়। এরই জের ধরে আজ সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় গোষ্ঠীর লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
পুলিশ জানায়, মোল্লা গোষ্ঠীর মো. সাজু ও ফকির গোষ্ঠীর আহাদ মিয়ার নেতৃত্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম বলেন, ‘ফুটবল খেলা নিয়ে চাপরতলা গ্রামে মোল্লা গোষ্ঠী ও ফকির গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। গত দুই দিন ধরেই গ্রামে এ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে আজ দুপুরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’