নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জেরে আঁখি আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সাঈদুল ইসলাম (৩৬) পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আঁখি আক্তার একই ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে। নিহতের স্বামী ও অভিযুক্ত সাঈদুল ইসলাম পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম সুধার ছেলে। তাদের সংসারে অর্নব (১২) ও সিয়াম (১০) নামে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সাঈদুল ইসলাম প্রায় স্ত্রীকে মারধর করতো। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তার ঘর থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এ সময় আঁখি আক্তারের হাত-পা বাঁধা ও পুরো মুখমণ্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
দুই শিশু সন্তান জানিয়েছে, তাদের বাবা সাঈদুল ইসলাম মায়ের হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়া করেছে। এর একপর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করেছে, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি, তাকে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হবে। এই ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হাতুড়ি পেটা করে স্বামী পালিয়েছে। এতে ওই গৃহবধূ মারা যান। স্ত্রীকে হাতুড়ি পেটা করার সময় তার সন্তানরা আশপাশে ছিল। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আরও বিস্তারিত বলতে পারবো। এই ঘটনায় স্বামীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।’