গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় আজমেরি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে এই বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমরান আহমেদ বলেন, কোনাবাড়ী এলাকায় একটি যাত্রী বাসে আগুন লেগেছে। অবরোধকারীরা নাকি পোশাক কারখানা শ্রমিক আগুন দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
তিনি বলেন, আজকে সকালে কোনাবাড়ী কাশিমপুর এলাকায় মালিকপক্ষ অনেক গার্মেন্ট ছুটি দিয়ে দিচ্ছে। মালিক পক্ষ কেন ছুটি দিচ্ছে তা আমার জানা নেই। এটা তাদের অফিসিয়াল কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক কারখানার শ্রমিক বলেন, কে বা কারা আগুন দিচ্ছে আমরা জানি না। মঙ্গলবার সকালে কাজ করতে এসেছি। গেটের দারোয়ান আমাকে বাসায় চলে যেতে বলেছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল সমস্যা হইছে। আজকেও সমস্যা হতে পারে তাই আজ গার্মেন্ট ছুটি। আমি এখন বাসায় চলে যাচ্ছি।
জানা গেছে, সোমবার মহানগরীর কাশিমপুর, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা টায়ারসহ বিভিন্ন ব্যানার ও কাঠে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করেছেন। পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে নারী শ্রমিকসহ অন্তত চার জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বন্ধ করে দেওয়া মহানগরীর কাশিমপুর, হাতিমারা, জিতার মোড়, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকার অধিকাংশ কারখানা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুরের খাবারের বিরতির পর কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা ওই দিন দুপুরের পর থেকে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।