খুলনা-মোংলা রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় ফুলতলা স্টেশন থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ট্রেন যাত্রা শুরু হয়। এ সময় খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামানসহ রেলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক বলেন, ‘সোমবার বিকালে খুলনার ফুলতলা থেকে ছেড়ে মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বুধবার (০১ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন। এর ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটান বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হবে বাংলাদেশের সঙ্গে। এতে আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম বলেন, ‘খুলনা-মোংলা রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে। এটি চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টায় ফুলতলা থেকে ট্রেন ছাড়ার পর বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ ও গতি হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টায় মোংলা বন্দরে পৌঁছে। রুটের কোথাও কোনও সমস্যা আমরা পাইনি। ফলে বলা যায়, ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইন পুরোপুরি প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’
প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল হক বলেন, ‘আজ রেললাইনে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রবিবার (২৯ অক্টোবর) মোটর ট্রলিতে করে মাইকিং করা হয়েছিল। রেললাইনের দুই পাশের বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে এ মাইকিং করা হয়। ফলে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ফুলতলা থেকে মোংলায় গেছে ট্রেন।’