বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দুই দিনব্যাপী হরতালের আজ প্রথম দিন। হরতাল ডেকে বিরোধীরা রাজপথে না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি আছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে। দূরপাল্লার বাসগুলো ভোররাতেই সাতক্ষীরায় পৌঁছে গেছে। দু-একটি পরিবহনের বাস ছাড়া ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাসগুলো।
ইমাদ পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার জয়ন্ত দাস বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের আগে আমাদের প্রচুর বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে যাত্রী না থাকার কারণে আমাদের সারা দিনে অল্প কিছু সংখ্যক বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।’
গ্রিনলাইনে কর্মরত জসীম মোল্লা জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে সারা দিন যাত্রী না থাকার কারণে বাসগুলো ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারে না। রাতে একটা গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও অল্প কয়েকজন যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গাড়ি ছাড়তে হয়।
ইজিবাইকচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘সেই ফজরের নামাজের পর রাস্তায় এসেছি। ভোর থেকে কোনও ভাড়া হয়নি। জিনিসপত্রের প্রচুর দাম। সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডাল, আলুভর্তা খেয়েও এখন জীবন কাটানো কঠিন।’
টানা হরতাল-অবরোধে ভালো নেই ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ সর্বস্তরের মানুষ। নিত্যপণ্যের দাম যেন তাদের গলার কাঁটা হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ বলছে, এমনিতেই বাজার চড়া তারওপর হরতাল-অবরোধ ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। ‘বলির পাঁঠা’ হচ্ছেন খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ মধ্যবিত্তরা।