রাতের অন্ধকারে আবারও হামলা চালিয়ে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ স্বাধীনতার বিভিন্ন স্মৃতি স্থাপত্য ভেঙে ফেলেছে। পুলিশ বলছে, তারা জানতে পারেনি। কারা করেছে সেটা খতিয়ে দেখছে।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের পাশের স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে ২০-২৫ জন যুবক স্মৃতিসৌধ অভ্যন্তরে এই হামলা চালিয়েছে। যুবকদের প্রত্যেকের হাতে হাতুড়ি, শাবল, রড ছিল। তারা প্রথমেই মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের সামনে ১২ ফুট লম্বা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্মৃতি ম্যুরালটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এরপর পুরো মুজিবনগর ঘুরে ঘুরে বঙ্গবন্ধুর ছোটবড় আরও কয়েকটি ম্যুরালসহ বঙ্গবন্ধুর টেরাকোঠার বিভিন্ন চিত্র ভেঙে ফেলে। মুজিবনগর অভ্যন্তরে ডিউটিরত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা এর প্রতিরোধে এগিয়ে যাননি।
স্থানীয়রা বলছেন, আমরাও ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারিনি। তবে এই কাজটা করা ঠিক হয়নি। তারা প্রায় এক ঘণ্টা এই হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে তারা নির্বিঘ্নে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সেও বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ ম্যুরালটি ভেঙে তারা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কেদারগঞ্জ বাজারে প্রধান সড়কের মাঝখানে ফেলে রেখে যায়।
দেখা গেছে, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ থেকে ১০০ ফুট দূরে মুজিবনগর থানা। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক টের পায়নি এই হামলা ভাঙচুরের ঘটনা।
জানা গেছে, এর আগে শেখ হাসিনার পতনের ৫ আগস্ট রাতে মুজিবনগরে একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটিয়ে সবকিছু ভাঙচুর করা হয়েছিল।
এই বিষয়ে মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সকালে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যুরাল ও ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখতে পায়। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনও মামলা হয়নি।