ঘরে ঘুমিয়ে ছিল একমাস বয়সী শিশুকন্যা তাবাসসুম। এর মধ্যে পুরো ঘরে আগুন লাগে, বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। এতে দগ্ধ হয় শিশুটি। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে শিশুটি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদরের ৬২ আড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে তাকে ঢাকায় নিতে পারেনি পরিবারের স্বজনরা।
পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার সকালে ৬২ আড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সালামের তৃতীয় শিশুকন্যা তাবাসসুম একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। বাইরে কাজ করছিল তার মা। এ সময় ঘরের পাশে খড়ির গাদা থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সেই আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয় ঘুমন্ত শিশু তাবাসসুম। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন প্রতিবেশী ও স্বজনরা।
হাসপাতালে নেওয়ার পরই তার শরীরের ক্ষত দেখে ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অর্থাভাবে শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের স্বজনরা এখনও হাসপাতালেই অবস্থান করছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট এহসানুল হক তন্ময় জানান, শিশুটির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুতই ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম বলেন, দিনমজুরের কাজ করে কোনোরকমে সংসার চলে। এই সময়ে ঢাকাতে নিতে টাকার প্রয়োজন। সেই টাকার জোগান না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। শিশুর শরীরের যন্ত্রণা সইতে না পেরে বিভিন্ন মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
একই গ্রামের বাসিন্দা শাহিন সরকার জানান, অতিদ্রুত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন শিশুটির। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়। গ্রামের লোকজন সহায়তা করছে। তাও খুবই সামান্য। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।