পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) জিউধারা স্টেশনের কলমতেজী ক্যাম্পের টেপারবিলে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। তবে রাতেও আগুন নেভানোর কাজ করছে বন বিভাগ। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাইপ লাইন টেনে রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) কাজী নুরুল করিম জানান, বনের ৩ থেকে ৪ একর এলাকার লতাপাতা-গুল্মে আগুন ধরেছে। আগুনের যাতে বিস্তৃতি না ঘটে সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে ও স্বল্প পরিসরে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে বন বিভাগ। আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি টিম আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবে। তবে আগুন এখনও জ্বলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত আগুন লাগার কারণ নির্ণয় করা যায়নি। আগুন পুরোপুরি নেভানোর পরই কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি করা হবে।’
এর আগে দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী এলাকায় আগুন লাগে। বন বিভাগ ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী এলাকার বিলে ২২মার্চ ধোঁয়া দেখতে পায় জেলেরা। পরে বনরক্ষীদের খবর দিলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বনরক্ষীরা সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকায় ফায়ার লাইন কেটে আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে চেষ্টা চালায়। কিন্তু যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখান থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে পানির খাল থাকায় সেখান থেকে পানি নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর বলেন, ‘জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনরক্ষীদের ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পানির খাল দূরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতিবছর সুন্দরবনের এই এলাকাটিতে প্রায়ই আগুন লাগার মূল কারণ একশ্রেণির জেলেরা বিলে মাছ ধরে। তারা বিড়ি খেয়ে অনেকসময় আগুন ফেলে দেয়। তার থেকে প্রায়ই সুন্দরবনের এই এলাকায় এক বছর দুই বছর পরপর আগুন লেগে থাকে।’
চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ দীপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আগুন বেশকিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ফায়ার লাইন কেটে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বনরক্ষী, ভিটিআরটিম ও গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে শরণখোলা-মোড়লগঞ্জ ও কচুয়ার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসেছে আশা করা যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে।’