যশোর প্রধান ডাকঘর থেকে নৈশপ্রহরী রবিউল ইসলামের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ মে) সকালে সহকর্মীরা পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
রবিউল ইসলাম মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার ধুয়াইল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
নিহতের শ্যালক শামিম জানান, রবিউল ইসলাম মাগুরা থেকে প্রায় দুই মাস আগে বদলি হয়ে যশোর প্রধান ডাকঘরে যোগদান করেন। তার এক মেয়ে, এক ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী মাগুরায় থাকেন। কেন এমনটি হয়েছে তারা বুঝতে পারছেন না।
যশোরের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল কার্যালয়ের সুপার মনিরুল আল নূর জানান, রবিউল রবিবার রাতে নিয়মিত ডিউটি করেন। পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবন রয়েছে। সকালে ওই ভবনের নিচতলার একটি রুমে রবিউলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন সহকর্মীরা। পরে তাদের খবর দিলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিউলের গলায় ব্যান্ডেজের (গজ) কাপড় প্যাঁচানো ছিল। ব্যান্ডেজের অপর অংশ ছাদের লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে অর্ধেক ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। গলায় ফাঁসের চিহ্ন স্পষ্ট। তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা কেউ বুঝতে পারছে না।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। সে কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। লাশ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।