X
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
২৫ বৈশাখ ১৪৩২

দশানী নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে কুশলনগর

জামালপুর প্রতিনিধি
২০ আগস্ট ২০২১, ০৮:৪৬আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫৫

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় দশানী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দুইশত বছরের পুরনো কুশলনগর দক্ষিণপাড়া গ্রাম। তীব্র ভাঙনে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। নদীর পেটে চলে যাচ্ছে অনেক আবাদি-অনাবাদি জমি। এ পর্যন্ত গ্রামটির প্রায় দুই কিলোমিটার জমি বিলীন হয়ে গেছে।

উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের প্রাচীনতম গ্রাম কুশলনগর দক্ষিণপাড়া। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দশানী নদী। গ্রামটিতে প্রায় ৮-১০ হাজার লোকের বাস। গত কয়েক বছরের নদী ভাঙনে গ্রামটি এখন বিলীনের পথে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, শিগগিরই কুশলনগর গ্রাম পরিদর্শন করবো। এছাড়া নদী ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নদীর পেটে চলে যাচ্ছে অনেক আবাদি-অনাবাদি জমি

এলাকাবাসী জানায়, দশানী নদীর তীব্র ভাঙনে কিছু কিছু এলাকার সবকিছু নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। গ্রামের বেশিরভাগ এলাকা বর্তমানে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েকটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ শত শত ঘরবাড়ি এখন নদীর পেটে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে অনেক আবাদি-অনাবাদি জমি। ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙনের কারণে পাল্টে যাচ্ছে কুশলনগর গ্রামের মানচিত্র। এত কিছুর পরও নদী ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

কুশলনগর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল হক, সুজা মিয়া, আমজাদ হোসেন ও নাজিম উদ্দিন বলেন, গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে দশানী নদী চলে গেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় বইছে প্রবল স্রোত। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। ফসলি জমির মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে ফলের বাগান ও গাছপালা ভেঙে পড়ছে। এখন পর্যন্ত গ্রামের চার ভাগের এক ভাগ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। গত কয়েক দিনে প্রায় ২০টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সম্প্রতি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা

গ্রামের আরেক বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কাছে বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে পাউবো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা সরেজমিন পরির্দশন করেছেন। আশা করি তিনি নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা জানান, কুশলনগর গ্রামের নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নদী ভাঙন সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। খুব শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
বগুড়ার আড়িয়াঘাট সেতুবালু তোলায় হুমকিতে ৫০ কোটি টাকার সেতু
সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র, রসুলপুরে এখন শুধু ভাঙন হাহাকার
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ থেকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী আটক
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ থেকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী আটক
এয়ার টিকিটের চড়া দামের নেপথ্যে সিন্ডিকেট, তদন্তে যা উঠে এলো
এয়ার টিকিটের চড়া দামের নেপথ্যে সিন্ডিকেট, তদন্তে যা উঠে এলো
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: মৌলভীবাজার সীমান্তে আটক ১৫, জড়ো হয়েছেন আরও অনেকে
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: মৌলভীবাজার সীমান্তে আটক ১৫, জড়ো হয়েছেন আরও অনেকে
তুরাগে স্ত্রী দগ্ধ, গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
তুরাগে স্ত্রী দগ্ধ, গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
সর্বাধিক পঠিত
‘তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি’
‘তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি’
ফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
পাকিস্তানে ভারতের হামলাফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
‘সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় এএসপি পলাশের, দুপুরে অফিসে নিজ মাথায় গুলি’
‘সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় এএসপি পলাশের, দুপুরে অফিসে নিজ মাথায় গুলি’
সিঁদুর অভিযান: ভূপাতিত ভারতীয় বিমানের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা
সিঁদুর অভিযান: ভূপাতিত ভারতীয় বিমানের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা
বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে মেট্রোরেলের ২ স্টেশনে
বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে মেট্রোরেলের ২ স্টেশনে