কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের আধা কিলোমিটারের মধ্যে বোমা হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে ঝর্ণা রানি ভৌমিক নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহত আরেকজন হামলাকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, শোলাকিয়া মাঠের আধা কিলোমিটারের মধ্যে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশের গেইটে সকাল সাড়ে ৯টায় টহল পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় শোলাকিয়া ময়দানে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও পরে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জহিরুলের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। আর মাথায় গুলিবিদ্ধ আনসার উল্লাহর মৃত্যু হয় বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
শোলাকিয়া মাঠে উপস্থিত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানও এ সময় হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি জানান, হামলাস্থল থেকে চাপাতি ও বোমাসদৃশ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলিসহ একটি রিভলবারও পাওয়া গেছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে ছয় পুলিশ সদস্যকে ময়মনসিংহ সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়। পরে সেখানে থেকে আহতদের নিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে একটি হেলিকপ্টার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনস্টেবল জুয়েল, মশিউর, প্রশান্ত, রফিকুল ও তুষার এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নয়ন।
এছাড়া পুলিশ জানিয়েছে, আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল আবু মুকাদ্দিন, মামুন ও আহসানুল্লাহ নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে নিহত সন্দেহভাজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।
/এমও/এপিএইচ/