বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় এক নম্বর আসামি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম মোছা. ফেরদৌসী বেগমের আদালতে আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলীকে উপস্থিত করা হয়। পরে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত শনিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর ঢাকায় আটক হওয়া প্রথম মারধরকারী হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি হোসেন আলীকে পাটগ্রাম থানায় রবিবার (৮ নভেম্বর) আনার পর হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকালে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এছাড়া ওই মামলায় উফারমারা এলাকার রবিউল ইসলাম (৪৯) ও ইসলামপুর এলাকার সুজন মিয়া (২২) নামে আরও দুই জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হোসেন আলীর সঙ্গে এ দুই আসামিকেও একই সময়ে উপস্থিত করা হলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদুন্নবী বলেন, হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলীকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আমরা আশা করি জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন শরিফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবীকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। এতে ১১৪ জনকে এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত শতশত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত ৩১ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জুয়েলকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগই ‘কিশোর’!
পালিয়ে গেছে হোসেন ডেকোরেটরের মালিক?
কোরআন অবমাননার কোনও প্রমাণ মেলেনি: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি
ফোর্স থাকলে দুই জনকেই রেসকিউ করতে পারতাম: পাটগ্রাম ইউএনও
জুয়েলের বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার প্রমাণ মেলেনি: গোয়েন্দা প্রতিবেদন
বুড়িমারীতে জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা (ভিডিও)
‘জুয়েলকে মসজিদের বাইরে আনার পর পরিস্থিতি এমন হবে ভাবিনি’
হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি স্বজনদের