ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে আট জন হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ধুরুইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ধুরুইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ গফুর মন্ডল, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম (রাব্বু) ও আটাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ নওশাদ আলীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলনস্থলে অবস্থান করছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ডালিম ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধানসহ জেলা-উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হলে উভয় গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে, এই ঘটনার মধ্যদিয়ে জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ডালিম। সভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মতিন মাস্টারের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম (রাব্বু) বলেন, তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজেরা কমিটি গঠন করছেন। এই কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে অবস্থান করছিলাম। এই সময় তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের কমপক্ষে ৮/১০ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ডালিম বলেন, যেহেতু জেলা-উপজেলা বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সভাস্থলে আছেন। সেখানে তারা (প্রতিপক্ষ) এসে মঞ্চ দখল করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই সম্মেলনে সভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মতিন মাস্টারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, শুক্রবার দুপুরে ধুরুইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ছিল। সেখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।