জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নিজের মুজিব কোট পুড়িয়ে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। রবিবার দুপুরে উপজেলার চৌমুহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটান তিনি।
ওই নেতার মুজিব কোট পোড়ানো ও পদত্যাগের ঘোষণার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম রেজাউল করিম। তিনি উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম একটি মুজিব কোট হাতে ধরে আছেন। একজনকে ডেকে নিয়ে তাকে মুজিব কোটে আগুন ধরিয়ে দিতে বলছেন। ওই ব্যক্তি মুজিব কোটে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন দেন। রেজাউলের হাতে মুজিব কোট পুড়তে থাকে। একপর্যায়ে রেজাউল হাত থেকে আগুন লাগানো মুজিব কোট সড়কের ওপর রেখে দেন। আগুনে পুড়তে থাকা মুজিব কোট দেখাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, ‘এই দলকে আমার আর ভালো লাগে না। এদের চালচলন (কর্মকাণ্ড) আর ভালো লাগে না। তাই মুজিব কোট পুড়িয়ে আমি এই দল থেকে পদত্যাগ করলাম।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে মামুদপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে আসেন রেজাউল করিম। তিনি বাজারের মসজিদে জোহরের নামাজ আদায়ের পর মুজিব কোট হাতে নিয়ে সড়কের ওপর আসেন। তিনি একজনকে মুজিব কোটে আগুন দিতে বলেন। এরপর ওই ব্যক্তি মুজিব কোটে আগুন ধরিয়ে দেন। তখন রেজাউল করিম দল থেকে পদত্যাগ ও মুজিব কোট আগুনে পোড়ানোর ব্যাখ্যা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার আর আওয়ামী লীগ করতে ভালো লাগে না। এজন্য মুজিব কোট পুড়িয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘রেজাউল করিম মামুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন। তিনি আজ দুপুরে চৌমুহনী বাজারে তার মুজিব কোট পুড়িয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জেনেছি। রেজাউল আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা। তিনি জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সৃষ্টি। তাদের মতো নেতার কারণে আজ আওয়ামী লীগের এই করুণ পরিণতি।’