বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বাজারে অবৈধভাবে মজুত করা প্রায় ২৭ মেট্রিক টন চাল ও প্রায় তিন হাজার পিস চটের বস্তা জব্দের পর নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আদালতের আদেশে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে তালোড়া বাজারে গুদাম চত্বরে প্রকাশ্যে এসব বিক্রি করা হয়।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের সূত্র জানায়, তালোড়ার ধান ও চাল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন খাদ্য বান্ধব, ভিডব্লিউবি, টিসিবি কর্মসূচির ২৬ দশমিক ৯৯০ মেট্রিক টন চাল অবৈধভাবে কেনেন। তিনি চালগুলো কালো বাজারে বিক্রির জন্য তার দুটি গুদামে মজুত করেন। গোপনে খবর পেয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক গত ২৯ অক্টোবর সেখানে অভিযান চালান। এ সময় ফারুক হোসেনের দুটি গুদাম থেকে ২৬ দশমিক ৯৯০ মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় তিন হাজার পিস চটের বস্তাও জব্দ করা হয়েছিল।
ওই ব্যবসায়ী মজুত করা চালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগে খাদ্য পরিদর্শক সিহাব উদ্দিন ৩১ অক্টোবর ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা করেন। তিনি তালোড়া বাজার এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে।
এদিকে মামলার রায়ে দুপচাঁচিয়া আমলি আদালত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চালগুলো নিলামে বিক্রির আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জানুয়ারি দুপচাঁচিয়ার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সালমা আকতারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের নিলাম কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে জব্দ করা চাল ও চটের বস্তাগুলো প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক জানান, তালোড়ার বাদশা অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা দর দেয়। টাকা প্রদান করে ২৬ দশমিক ৯৯০ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এক হাজার ৪৯৯ পিস ও ৩০ কেজি ধারণে সক্ষম সমপরিমাণ চটের বস্তা কেনেন। পরে টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।