একসঙ্গে দুটি কলেজে চাকরি করায় রাজশাহীর একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সরকারের তহবিল থেকে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭১ টাকা অতিরিক্ত বেতন তুলে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান।
আসামি মেহেদী হাসান রাজশাহী নগরীর মতিহার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি এ পদে যোগ দেন। এর আগে, ২০০৪ সালের ১২ জুন তিনি বাগমারা উপজেলার আদর্শ মহিলা টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক (বিএসসি গণিত) হিসেবে যোগ দেন। ওই পদ থেকে পদত্যাগ না করেই তিনি মতিহার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। একইসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নেন তিনি।
দুদক জানিয়েছে, মেহেদী হাসানের বাড়ি বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ মাস্টারপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম রোস্তম আলী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী নগরীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা।
দুদক আরও জানায়, সরকারের নীতিমালা ভঙ্গ করে তিনি একইসঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এতে তিনি প্রতারণা করে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭১ টাকা অতিরিক্ত বেতন তুলে আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।