বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের বগুড়ার উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান সোমবার বগুড়ার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এক কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পর শুনানির জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।’
অভিযুক্ত পরিমল চন্দ্র দাস পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নভেম্বরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালে পরিমল চন্দ্র দাসের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে এক কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়া যায়। দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর দুদক জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপি করার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। সে সময় দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছিলাম। দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ জমা দিয়েছি। এটি হয়রানিমূলক মামলা। আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।’