দিনাজপুরের হিলিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তীব্র শীতে কাজে যেতে পারছে না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে শীত উপেক্ষা করে বেরিয়েও কাজ না পেয়ে ফিরে আসছে।
মাঘ মাসে শীত একেবারে জেঁকে বসেছে। সকাল থেকে রোদের দেখা মিললেও পশ্চিমা হিমেল বাতাসে বাড়তি শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা তাপমাত্রা বেশি থাকলেও বিকালের পর থেকে কমছে। রাতে কনকনে শীতে ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে শীতের কারণে সন্ধ্যার পরই বাজার-ঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। যাত্রী না পাওয়ায় আয় রোজগার কমে বিপাকে পড়েছেন ভ্যান-রিকশা চালকরা।
দিনমজুর আব্দুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড শীত পড়ছে। সঙ্গে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস বইছে। বাড়ি থেকে বের হওয়া খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারপরও পেটের তাগিদে বের হতে হচ্ছে। কোনও দিন কাজ হচ্ছে আবার হচ্ছে না।
দোকান শ্রমিক আনিসুর রহমান বলেন, তীব্র শীতে সকালে কাজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। দোকান খুলতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না।
আবহাওয়া অধিদফতর দিনাজপুরে ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৮৯ শতাংশ, গতিবেগ ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার।
দিনাজপুর, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও শ্রীমঙ্গলসহ দেশের আরও কিছু স্থানে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
পড়ুন: