X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহিণী থেকে সফল উদ্যোক্তা তাসলিমা

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:০০আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:০০

কেঁচো সার উৎপাদন করে গৃহিণী থেকে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের তাসলিমা নাসরিন। ছোট পরিসরে শুরু করলেও তার খামারটি এখন বাণিজ্যিক খামারে রূপ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন তিনি।

তাসলিমা নাসরিন জানিয়েছেন, উপজেলার মালদহ গ্রামের এক কীটনাশক কোম্পানির মাঠকর্মীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর আয়ে ঠিকমতো সংসার চলছিল না। অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। স্নাতক পাস করে স্থানীয় কৃষি সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন। সমিতির মাধ্যমে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন। ২০১৯ সালে নিজের গৃহপালিত গরুর গোবর ও বিদেশি কেঁচো কিনে বাড়ির উঠানে ১৪টি রিং বসিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। পরে উৎপাদিত সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করেন। ওই সারে ভালো ফলন হওয়ায় বেড়ে যায় চাহিদা। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে উৎপাদন। এখন তার খামারে ১৩০টি রিংয়ে উৎপাদন হয় কেঁচো সার। 

শুরুর দিকে খামারে একা কাজ করলেও এখন দুজন শ্রমিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তাসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে খামারে ১০-১২ কেজি কেঁচো ও ২০-২৫ মণ সার উৎপাদন হচ্ছে। কেঁচো ও সার বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়। এই আয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। এখন ভালোভাবেই চলছে সংসার।’

প্যাকেটজাত করে সার বিক্রির অনুমতি না পাওয়ায় খামারের পরিধি বাড়াতে পারছি না উল্লেখ করে এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ প্যাকেটজাত করে বিক্রির অনুমতি দিলে উৎপাদন বাড়াতে পারতাম। খামারটি আরও বড় করে অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম।’

ছোট পরিসরে শুরু করলেও তাসলিমার খামারটি এখন বাণিজ্যিক খামারে রূপ নিয়েছে

ওই গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‌‘গত দুই বছর ধরে তাসলিমার তৈরি সার কিনে ক্ষেতে প্রয়োগ করে ভালো ফলন পাচ্ছি। এলাকার অনেক কৃষক এখন তাসলিমার তৈরি সার প্রয়োগ করে চাষাবাদ করছেন। এতে ভালো ফলন হচ্ছে সবার। এজন্য দিন দিন তার সারের চাহিদা বাড়ছে।’  

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাসলিমা নাসরিনের উৎপাদিত সার ও কেঁচো আশপাশের উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় বিক্রি হয়। ক্রেতারা খামারে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সাফল্যে আশপাশের অনেক নারী সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’

তাসলিমার মতো উপজেলার বেশ কিছু উদ্যোক্তা কেঁচো সার উৎপাদন করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘ক্ষেতে কেঁচো সার প্রয়োগে যেকোনো ফসলের ফলন ভালো হয়। ফসলের রোগবালাই কম হয়। মাটির গুণাগুণ বেড়ে যায়। ফলে কৃষি অফিস থেকে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি আমরা। তাসলিমা তার খামারের লাইসেন্স পেতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে সহযোগিতা করবো আমরা।’

/এএম/
সম্পর্কিত
সুঁই-সুতোয় ‘স্বপ্ন বুনছেন’ ভোলার আমেনা খানম
জিপি এক্সিলারেটর বুটক্যাম্প শুরু
কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
সর্বশেষ খবর
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
ইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
প্রয়াণ দিনে স্মরণইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
ভুটানে আবার কোচ হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ
ভুটানে আবার কোচ হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড