কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের বাড়ি থেকে ২২২ বোতল ‘এস্কাফ’ সিরাপ নামের মাদক উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় মাদক রাখায় মনোয়ার হোসেন মুন্না নামে ওই বাড়ির এক সদস্যকে আটক করা হয়। রবিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বিজিবির একটি দল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আবু জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক মনোয়ার হোসেন মুন্না উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতাড়ী গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং বালারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বিজিবির একটি যৌথ অভিযানিক দল মুন্নার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বস্তাভর্তি ২২২ বোতল এস্কাফ নামের মাদক উদ্ধার করে। এসব মাদক রাখার অভিযোগে মুন্নাকে আটক করা হয়।
সহকারী পরিচালক মো. আবু জাফর বলেন, ‘রবিবার রাতেই অভিযুক্ত মুন্না ও আনারুলকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করা হয়েছে। মুন্নাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিদর্শক আব্দুর রহমান বলেন, ‘মুন্না নিজের বাড়িতে মাদকদ্রব্য মজুত রাখতো এবং সেবন করতো। তার বাড়িতে পাওয়া মাদকের মালিক নাওডাঙা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ বকসি গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম। মুন্নার বাড়িতে মাদক রেখে বিক্রি করতো সে। অভিযানের পর থেকে পলাতক রয়েছে।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘ফেনসিডিল ও এস্কাফ মূলত একই জিনিস। দুটিই কোডিন ফসফেট মিশ্রিত মাদক। দেশে কম পরিচিত হওয়ায় কাশির সিরাপ পরিচয় দিয়ে এস্কাফ নামের এই মাদক নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা।’
বালারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌরেন্দ্র চন্দ্র গোস্বামী বলেন, ‘মুন্নার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’