কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরে প্রবেশ করেছে পানি। শনিবার (৬ জুলাই) রাতে এবং রবিবার (৭ জুলাই) সকালে পৌর শহরের ডিসি বস্তি, এসিল্যান্ড পাড়াসহ আশপাশের নিচু এলাকাগুলো ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডিসি বস্তির অনেকের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যাদুর্গতরা বাড়িঘর ছেড়ে শিল্পকলা একাডেমি ভবন, শালিখ স্কুলসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আর কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
সাধারণত ঠাকুরগাঁও জেলা বন্যামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। অনভ্যস্ত হওয়ায় বন্যাদুর্গতদের ভোগান্তি চরমে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানিতে এসিল্যান্ড পাড়ার প্রবেশের রাস্তাটির বিরাট অংশ ভেঙে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে শুধু হেঁটে মানুষজন চলাচল করলেও রিকশা-ভ্যান বা অন্যান্য কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এসিল্যান্ড পাড়ার বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আর রাস্তার দক্ষিণ পাশের এলাকার সমস্ত পানি ওই রাস্তার নিচে স্থাপিত ২টি পাইপ দিয়ে টাঙ্গন নদীতে পড়ে থাকে। কিন্তু পানি বাড়ার কারণে রাস্তাটির এক পাশে কিছুটা ভেঙে গেছে। এভাবে ভাঙন বাড়তে থাকলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
এসিল্যান্ড পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘শুক্রবার (৫ জুলাই) সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারও বিকাল অবধি বৃষ্টির ফলে নদীর পানি বেড়েছে। পাশের একটি রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও প্রধান এ রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে এই গ্রামের মানুষদের চলাচলে ভোগান্তি বাড়বে।’
বিষয়টি জানার পর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা, আওয়ামী লীগ নেতা দ্বীপক কুমার রায়, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ও প্যানেল মেয়র মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, ‘রাস্তাটির একাংশ ভেঙে গেছে। এটি যেহেতু সিএমবির প্রজেক্ট। তাদের পক্ষ থেকে প্রকৌশলীরা এসে ভাঙনের বিষয়টি দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে তারা যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’