১৯৭১ সাল, চারদিকে যুদ্ধের ডামাডোল। আমঝুপি নামে এক গ্রাম। সে গ্রামেরই মানুষ সয়ফর আর ময়ূরজান। প্রচণ্ড ভালোবাসে একে অপরকে। দেশকে শত্রুমুক্ত করার যুদ্ধে সয়ফর তো আর ঘরে বসে থাকতে পারে না। সিদ্ধান্ত নেয় যুদ্ধে যাবার। কিন্তু ময়ূরজানের কী হবে?
গল্পের এই ময়ূরজান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপর্ণা ঘোষ। সয়ফর যুদ্ধে যাওয়ার পর যার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এমনই এক যুদ্ধ ও জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হলো বিশেষ নাটক ‘বীরাঙ্গনা’।
টিপু আলম মিলনের গল্পে আনন জামানের চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন শুদ্ধমান চৈতন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৈশাখী টিভিতে রাত ১০টায় প্রচার হবে এটি।
অপর্ণা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, রিয়া খান, মনির জামান, সানজিদা মিলা প্রমুখ।
গল্পের পরের অংশে দেখা যাবে, দেশ স্বাধীন হয়। পাকিস্তানি ক্যাম্প থেকে মুক্ত হন বন্দী ময়ূরজান। তখন তিনি গর্ভবতী। এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানকে নিয়ে শুরু হয় আরেক যুদ্ধ। সে এক করুণ কাহিনি। স্বাধীন দেশে ময়ূরজান যেন পরাধীন এক।
লেখক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বীরাঙ্গনারা আজও অবহেলিত। সমাজে বসবাসরত কিছু মানুষের তাচ্ছিল্যের তীর বিদ্ধ করে তাদের। এসব বীরাঙ্গনার ত্যাগের কি কোনোই মূল্য নেই? তাদেরই একজন বীরাঙ্গনা ময়ূরজান তথা অপর্ণা। তার জীবনের গল্পই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। হৃদয়স্পর্শী এ কাহিনি দর্শকদের ভাবাবে বলে আমার বিশ্বাস।’