‘পাকি (পাকিস্তান) প্রেমে নিমজ্জিত'দের উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ১৯৭৪ সালের ত্রিদেশীয় চুক্তির পরিপন্থী আখ্যা দিয়েছে ইসলামাবাদ। ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের বক্তৃতায় ‘পাকিস্তান-প্রেমী’দের উপযুক্ত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি মন্তব্য করেন, তাদের (পাকিস্তান-প্রেমীদের) শাস্তি পেতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সে দেশের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ওই বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের ২৫ তারিখে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকি (পাকিস্তান) প্রেমে যারা হাবুডুবু খেয়েছে তাদেরও উপযুক্ত জবাব বাংলার মানুষকে দিতে হবে। তাদেরও শাস্তি দিতে হবে। তাদের ওই পাকি প্রেম ভুলিয়ে দিতে হবে। এই বাঙালি যদি এটা না পারে তাহলে নিজেদের অস্তিত্ব থাকবে না।’ ডনের বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি এ বক্তব্যকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মূল নীতির পরিপন্থী দাবি করেছেন। ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল দিল্লিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ওই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়।
ডনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে যারা যুদ্ধাপরাধ সংগঠনের দাযে অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে বিচার না চালাতে সম্মত হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওই চুক্তির ১৩তম অনুচ্ছেদে ওই সময় সংঘটিত যে কোনও অপরাধের তীব্র নিন্দা জানাতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। চুক্তিতে সাধারণ ক্ষমার প্রসঙ্গ থাকলেও যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
