X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক বহরে বিমান হামলা, নিহত ৩

বিদেশ ডেস্ক
২০ আগস্ট ২০১৯, ১০:১২আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৯, ১০:১৫

সিরিয়ায় তুরস্কের একটি সামরিক বহরে বিমান হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১২ জন। সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আঙ্কারা।
সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক বহরে বিমান হামলা, নিহত ৩ সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত খান শেইখুন শহর সংলগ্ন একটি তুর্কি পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ির দিকে দিকে যাত্রা করেছিল বহরটি। সেখানে তাদের প্রবেশ ঠেকাতে মাঝপথে বিমান হামলা চালায় আসাদ বাহিনী।

২০১৭ সালের এক চুক্তির আওতায় তুরস্কপন্থী বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে তুর্কি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার ব্যাপারে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে সমঝোতা হয় আঙ্কারার। চুক্তি অনুযায়ী সেখানে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইদলিবের ভেতরে ও উপকণ্ঠে ১২টি পর্যবেক্ষণ-ফাঁড়ি স্থাপন করে আঙ্কারা। সোমবারের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আঙ্কারা বলেছে, আসাদ বাহিনীর এ হামলা রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের চুক্তির লঙ্ঘন। এমনকি বহরটির যাত্রার আগেও রাশিয়াকে অবহিত করা হয়েছিল।

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এটি রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির লঙ্ঘন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আসাদ বাহিনীর বিমান হামলার মুখে তুর্কি সামরিক বহরটি একটি মহাসড়কে আটকা পড়ে।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করার পরও চুক্তি লঙ্ঘন করে ইদলিবে আসাদ বাহিনীর সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতে নিরপরাধ বেসামরিক লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তুরস্কে ৩৬ লাখ নিবন্ধিত সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। আঙ্কারার আশঙ্কা, সিরিয়ার অভ্যন্তরে আসাদ বাহিনীর আরও সামরিক পদক্ষেপ শরণার্থীদের এ ঢল আরও বাড়িয়ে দেবে।

গত এপ্রিলে আসাদ বাহিনী ইদলিবে হামলা জোরদার করার পর থেকে নিহত হয়েছে শত শত বেসামরিক নাগরিক। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। জীবন বাঁচাতে পলায়নপর অনেক বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন তুর্কি সীমান্তে। সূত্র: বিবিসি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

 

/এমপি/
সম্পর্কিত
চাপে পড়ে অস্ত্রভাণ্ডার সীমিত করার পথে হিজবুল্লাহ
ইসরায়েলি বেষ্টনীতে বন্দি পশ্চিম তীরের সিনজিল, যেন এক বিশাল কারাগার
আফগান সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ৩০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
সর্বশেষ খবর
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বরগুনায় আবারও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ১০২
বরগুনায় আবারও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ১০২
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল