ইউরোপে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ নিয়ে কাতারের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে এর পরিণতিতে যেন ইউরোপ যেন এই গ্যাসের সংকটে না পড়ে মূলত সেজন্যই দোহার সঙ্গে ওয়াশিংটনের এমন আগাম আলোচনা। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। তারা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে সম্ভবত এই মাসের শেষের দিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।
মস্কোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার গ্যাস সরবরাহের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্যই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। যে কোনও সংঘাতের ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সেই সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে।
সূত্র বলছে, ‘সংঘাত বা নিষেধাজ্ঞার কারণে যদি জ্বালানির ঘাটতি হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেছেন, পশ্চিমের ‘পরীক্ষা’ নিতে গেলে রুশ নেতাকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। পশ্চিমা দুনিয়ার প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে রাশিয়া কিভাবে এগোচ্ছে তার ওপর।
বাইডেনের ওই মন্তব্যের পর রুশ আগ্রাসনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। পরে মার্কিন কর্মকর্তারা দ্রুত অবস্থান স্পষ্ট করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাব যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা দ্রুত, তীব্রতার সঙ্গে এবং সম্মিলিতভাবে দেবে।