জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সভায় রাশিয়ার ভাষণের সময় ওয়াক আউট করেছেন কয়েক ডজন কূটনীতিবিদ। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বুধবারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও জাতিসংঘে ব্রিটেনের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইমন ম্যানলি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। আমরা চাই, জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায়সংগত এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সেখানে প্রতিষ্ঠিত হোক। সমঝোতা বৈঠকে ইউক্রেনের উপস্থিত তাই বাধ্যতামূলক।
ব্রিটেনসহ ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতিনিধিরা বৈঠক কক্ষের বাইরে অবস্থান করছিলেন। রুশ প্রতিনিধির ভাষণ শুরুর পরই তারা বেরিয়ে যান। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর তিন বছর পূর্ণ হতে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ফরাসি প্রতিনিধি জেরোমে বোন্নাফোন্ট বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যা করেছে সেটা যদি আমরা উপেক্ষা করি, তবে জাতিসংঘের মৌলিক নীতিগুলোই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
মানবাধিকার পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের আসনটি ফাঁকা ছিল। ক্ষমতায় আসার পর সংস্থাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ত্যাগের আদেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরিষদে রাশিয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভেরশিনিন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, কিয়েভের পক্ষ থেকে রুশ ভীতি ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, দ্বিমুখী নীতি ধরে রাখলে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
এদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ মন্ত্রী ম্যারিয়ান বেতসা বলেছেন, আগ্রাসককে পুরস্কৃত না করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সভায় বক্তব্য প্রদানের পর রয়টার্সকে বেতসা বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে না। সমঝোতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপস্থিত থাকতে হবে। ইউক্রেন বিষয়ের আলোচনায় আমাদের মাঠের বাইরে রেখে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালাতে পারে না।
এদিকে, সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের একটি খসড়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এতে ইউক্রেন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নাটকীয় পরিবর্তন এবং রাশিয়ার প্রতি তুলনামূলক নমনীয় অবস্থানের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।