কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে এবার ভারতীয় পাঞ্জাব বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ জন পাঞ্জাবি হাউজ অব কমন্সে জায়গা করে নিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কানাডার রাজনীতিতে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূতদের ক্রমান্বয়ে আধিপত্য বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠল। দেশটির পার্লামেন্টে এখন পাঞ্জাবি অধিবাসীদের ছয় শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো।
পাঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর ঘনত্ব বেশি ব্রাম্পটন শহরে। সেখানকার নির্বাচনী ফলাফল ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানে পাঁচটি আসনে পাঞ্জাবি নামধারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উদারপন্থি ও রক্ষণশীল উভয় দলেই পাঞ্জাবি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ব্র্যাম্পটন নর্থে উদারপন্থি দলের রুবি সাহোতা রক্ষণশীল দলের আমনদীপ জুড়্গেকে পরাজিত করেন। ব্র্যাম্পটন ইস্টে উদারপন্থি মানিন্দর সিধু হারিয়েছেন কনজারভেটিভ বব দোসাঞ্জকে। তবে সব উদারপন্থি প্রার্থী বিজয়ী হননি। ব্র্যাম্পটন সাউথে রক্ষণশীল সুখদীপ কাংয়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন উদারপন্থি সোনিয়া সিধু।
ব্র্যাম্পটনের বাইরেও পাঞ্জাবি কানাডিয়ান রাজনীতিবিদরা দাপট দেখিয়েছেন। সাবেক ইনোভেশন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ তার আসন ওকভিল ইস্টে ধরে রেখেছেন। বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক কাজের জন্য পরিচিত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বারদিশ চাগার ওয়াটারলুতে জয়ী হয়েছেন। অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন আনজু ধিল্লন, সুখ ধালীওয়াল, রণদীপ সরাই এবং পরম বেইন্স।
রক্ষণশীল পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরাও ভালো ফল করেছেন। নির্বাচনে জয় পাওয়া রক্ষণশীলদের মধ্যে রয়েছেন জসরাজ হাল্লান, দলবিন্দর গিল, অমনপ্রীত গিল, অর্জন খান্না, টিম উপ্পাল, পরম গিল, সুখমান গিল, জগশরণ সিং মাহল এবং হার্ব গিল।
তবে সব প্রভাবশালী পাঞ্জাবি রাজনীতিক সফল হননি। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা জগমীত সিং বার্নাবি তার আসন হারিয়েছেন। তিনি তৃতীয় স্থান অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে এনডিপি সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।