X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা

বিদেশ ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২৩:১০আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২৩:১০

কয়েক মাস ধরে উল্লেখযোগ্য হারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার পর আবারও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তা বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যায় ঊর্ধ্বগামিতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে মুম্বাইয়ের আম্রবাতি জেলায় ১০ হাজারের বেশি শনাক্ত ও ৬৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এই সপ্তাহেই সহস্রাধিক করোনায় আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। পজিটিভিটি হার আতঙ্ক জাগানিয়া দুই সংখ্যায়। আম্রবাতিসহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন করে লক ডাউন জারি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এবারের সংক্রমণের হটস্পট যে জেলায় সেখানে ২৫ লাখ মানুষের বাস। বেশিরভাগই বাস করেন ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়।

আম্রবাতির প্রতিবেশী জেলাগুলোতে বৃহস্পতিবার প্রায় ৯ হাজার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। চার মাসের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এটিই সর্বোচ্চ। একই দিনে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের।

মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ড. সঞ্জয় ওক বলেন, মানুষ মাস্ক পরছে না। তারা অনিয়ন্ত্রিত জন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, যেমন বিয়ের অনুষ্ঠান ও স্থানীয় নির্বাচন। আক্রান্তদের বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না, পরীক্ষা ও সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করার হার কম। এসব মিলিয়েই এখনকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শুধু মহারাষ্ট্র নয়, সম্প্রতি আরও কয়েকটি রাজ্যেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেরালা, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পাঞ্জাবের কয়েকটি এলাকাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমূখী। এই ঊর্ধ্বমূখীতা এমন সময় ঘটছে যখন ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে দৈনিক সংক্রমিতের হার নিম্নমূখী। সেপ্টেম্বরে দৈনিক আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৯০ হাজার সেখান থেকে কমে ২০ হাজারে এসেছে।

এপিডেমিওলজিস্ট ড. ললিত কান্ত মনে করেন, দেশের মানুষের মনে মিথ্যে স্বাভাবিকতাবোধ জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, নিজেদের সুরক্ষা বাদ দেওয়ার বিলাসিতা আমরা করতে পারি না। আমাদের সতর্ক হতে হবে জনসমাগমের স্থান উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে। পরীক্ষা, চিহ্নিত করা ও আইসোলেশন সবগুলো রাজ্যে আবারও ব্যাপকভাবে শুরু করতে হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের জন্য আমাদের অপেক্ষার সুযোগ নেই।

ড. কান্ত আরও জানান, বৈশ্বিক প্রবণতা আমলে নিয়ে কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রত্যাশিত ছিল। দুই বা তিন মাসের মাথায় একাধিক দেশে ঊর্ধ্বমূখীতা দেখা গেছে।

একই কথা বলেছেন ডিজিজ মডেলিং বিশেষজ্ঞ গৌতম মেনন। তিনি বলেন, মডেলিং কাজ ও সেরো জরিপের ফলাফল ইঙ্গিত দেয়, করোনা নিয়ে ভারতের সতর্ক হওয়া উচিত। ফলে করোনার পুনরায় সংক্রমণ বৃদ্ধিতে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই।

/এএ/
সম্পর্কিত
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
ভারতের ভোটে বিজেপির পক্ষে কি ‘৪০০ পেরোনো’ আদৌ সম্ভব?  
মিয়ানমারের ৩৮ শরণার্থীকে ফেরত পাঠালো ভারত
সর্বশেষ খবর
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
দুর্নীতির দায়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির দায়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা
এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ সেনা আহত
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ সেনা আহত
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক