ইউক্রেনের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে ‘ইউরোপের সমস্যা’ বলে মনে করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সকালে রক্ষণশীল রেডিও হোস্ট গ্লেন বেকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের এমন মনোভাবের কথা জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।
সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সত্যিই বলবো, এটি ইউরোপের একটি সমস্যা।’
পূর্ব ইউরোপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনীয়দের সশস্ত্র করা বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত হওয়া উচিত কিনা? গ্লেন বেকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউরোপকে সম্পূর্ণভাবে জড়িত হওয়া উচিত।’
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া যাতে জার্মানিতে গ্যাস পাঠাতে সম্মত হয় সেজন্য মস্কোর সঙ্গে একটি বাজে জ্বালানি চুক্তি করেছে বার্লিন।
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালালে রাশিয়ার ওই পাইপলাইন প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প মনে করেন, জার্মানি কখনও এটা করবে না। কারণ তারা জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘জার্মানির ওপর রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। জ্বালানির জন্য তারা (জার্মানি) মস্কোর সঙ্গে লড়াই করতে পারে না।’
বেক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কীভাবে পুতিনকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখতেন? উত্তরে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তেলের দাম কমিয়ে পুতিনকে অর্থনৈতিকভাবে হুমকি দেওয়া যেতে পারে।
বাইডেন প্রশাসনের এ সংক্রান্ত খোলামেলা আলোচনার কৌশল নিয়েও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দুই সপ্তাহ আগে তার (পুতিন) হামলার কোনও ইচ্ছা ছিল না। তিনি শুধু দরকষাকষি করছিলেন এবং তার কাজটি করছেন। এখন, তিনি দেখতে পাচ্ছেন যে, পথ পরিষ্কার। কারণ তিনি যে বোকা লোকদের সঙ্গে ডিল করছেন।’