X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তায় খাল খনন করছে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশে পানি সংকটের শঙ্কা

রক্তিম দাশ, কলকাতা
০৫ মার্চ ২০২৩, ০২:১১আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:৩৬

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে দুটি খাল খননের কাজ শুরু করতে চলেছে। এরইমধ্যে কৃষি কাজের জল সরানোর জন্য এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।এই পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং কুচবিহার জেলার আরও জমি সেচের আওতায় আনতে সাহায্য করবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে—এই পদক্ষেপের ফলে পানি সংকটে বিপর্যস্ত হতে পাৃরে বাংলাদেশ।

তিস্তা (পশ্চিমবঙ্গের) উত্তরবঙ্গ থেকে প্রবাহিত হয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানি সংকট সমাধানে এক দশকের বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে দেশটি।

গত শুক্রবার (৩ মার্চ) পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসন ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিদফতরের আধিকারিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

এই জমি তিস্তার বাম তীরে দুটি খাল খনন করতে প্রশাসনকে সহায়তা করবে। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আরেকটি জলঢাকা নদী, সেই জলঢাকা নদীকে সেচের জন্য খালের দিকে সরানো হবে।এই খালগুলো খনন করা হলে প্রায় এক লাখ কৃষক সুবিধা পাবেন।

তিস্তা ব্যারেজের এই খাল খননের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ রুষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। রাজ্য সরকারের এই দীর্ঘমেয়াদী খাল খননের সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়তে পারে বাংলাদেশের কৃষি কাজ। মনে করা হচ্ছে, ২০ বছরেরও বেশি সময় পর তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে নতুন খাল খননের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্তে  সমস্যা বাড়বে ঢাকার।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনের চুক্তি করতে পারেনি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসন খাল খননের জন্য আমাদের কাছে এক হাজার একর জমি হস্তান্তর করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে একটি জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছিল (২০০৯ সালে), কিন্তু তার জন্য প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার সরবরাহ করছে না। আমরা অর্থ না পেলেও এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করবো।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সেচ দফতর জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকে আরেকটি খাল মেরামত করবে। এই খালটি চালু হয়ে গেলে ব্লকের ৩২ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়া যাবে।

শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের বিভাগের একজন  অধ্যাপক বলেন, "এখন রাজ্য সরকার সেচের জন্য যে পরিকল্পনা করেছে, এর থেকে পরিষ্কার যে তিস্তা থেকে আরও বেশি পানি নতুন খালের মাধ্যমে প্রবাহিত হবে। গরমের মৌসুমে আরও কম তিস্তার পানি বাংলাদেশের দিকে যাবে।" গ্রীষ্মের মাসগুলোতে তিস্তার প্রায় ১০০ কিউসেক পানি পাওয়া যায়। যেখানে ভারত ও বাংলাদেশের কৃষি কাজের জন্য প্রায় ১৬০০ কিউসেক পানি প্রয়োজন।

উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার ৯ দশমিক বাইশ লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচের জন্য ১৯৭৫ সালে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল তিস্তা থেকে নদীর দুই তীরে খালের মাধ্যমে পানি পাঠানোর।

/এমএস/
সম্পর্কিত
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
ভারতের মণিপুরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক-সংখ্যালঘুরা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
সর্বশেষ খবর
মুগদায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
মুগদায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৮ নির্দেশনা
তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৮ নির্দেশনা
কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল রান্না করবেন যেভাবে
কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল রান্না করবেন যেভাবে
সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় দল
সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় দল
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা