X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭

ইসরায়েল আর হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননের পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে ছয়জন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেকা উপত্যকার জেন্নাতা শহরের কাছে শায়ারা এলাকায় একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল ‘হিজবুল্লাহর সদস্যদের একটি স্থাপনা, যেখানে কৌশলগত অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছিল।’

সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, এই স্থাপনার কার্যক্রম ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে হওয়া সমঝোতার সরাসরি লঙ্ঘন।’

এখানে গত ২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত বন্ধ করতে সহায়ক হয়েছিল।

কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৬০ দিনের বাস্তবায়নকাল ২৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ইসরায়েল দাবি করেছে যে, লেবানন চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মানেনি, তাই তারা দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রেখেছে।

চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীর পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এর মধ্যে ইসরায়েল পূর্ব বেকা উপত্যকায় একাধিক হামলা চালিয়েছে, যা সাধারণত হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ৩১ জানুয়ারি, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সিরিয়া সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে দুইজনকে হত্যা করে।

হিজবুল্লাহর কর্মকর্তা ইব্রাহিম মুসাবি এসব বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক লঙ্ঘন এবং একটি সুস্পষ্ট আগ্রাসন। তিনি লেবাননের সরকারকে ইসরায়েলের এসব আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানান।

/এস/
সম্পর্কিত
পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ পর্যালোচনা করতে আইএমএফকে ভারতের অনুরোধ
ইউক্রেনের কাছে এফ-১৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কর-মুক্ত মর্যাদা বাতিলের হুমকি ট্রাম্পের
সর্বশেষ খবর
‘আমাদের শিরোপা স্বপ্ন নেই বললেই চলে’
‘আমাদের শিরোপা স্বপ্ন নেই বললেই চলে’
গাজীপুরে ঝুটের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
গাজীপুরে ঝুটের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
১২ দফা দাবিতে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের মানববন্ধন
১২ দফা দাবিতে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের মানববন্ধন
মৌসুমী ভুলে যেতে চান, তিনি ‘মৌসুমী’ ছিলেন!
মৌসুমী ভুলে যেতে চান, তিনি ‘মৌসুমী’ ছিলেন!
সর্বাধিক পঠিত
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
আগে রওনা দিয়েও এড়ানো গেলো না ‘নোটাম’, শাহজালালের ফ্লাইট গেলো ওসমানীতে
আগে রওনা দিয়েও এড়ানো গেলো না ‘নোটাম’, শাহজালালের ফ্লাইট গেলো ওসমানীতে
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্ট যুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার’
কমোডের ওয়াটার ট্যাংক পরিষ্কার করবেন যেভাবে
কমোডের ওয়াটার ট্যাংক পরিষ্কার করবেন যেভাবে