যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সমকামীদের নাইটক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি গোষ্ঠীটির কথিত বার্তা সংস্থা আমাক-এ রবিবার (১২ জুন) দায় স্বীকার করা হয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলা, যেখানে ৫০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫৩ জন। হামলার দায় স্বীকার করে আইএস বলেছে, ‘আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেটে সমকামী নাইটক্লাব লক্ষ্য করে সশস্ত্র হামলা, যাতে শতাধিক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন তা একজন আইএস যোদ্ধা চালিয়েছেন।’
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম ওমর মতিন। শনিবার (১১ জুন) রাত ২টার দিকে ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডো শহরের পালস নাইটক্লাবে ঢুকে গুলি চালান তিনি। এরপর ওমর নাইটক্লাবে অবস্থান করা লোকজনকে জিম্মি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জানায়, ওমর মতিনের কাছে একটি রাইফেল, একটি পিস্তল এবং দুটি সন্দেহজনক যন্ত্র ছিল। স্থানীয় সময় আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে এসডব্লিউএটি-এর বিশেষ কমান্ডোরা জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান চালান। কর্মকর্তারা জানান, ওই অভিযানে ওমর মতিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হামলাকারী ওমর সিদ্দিক মতিন (২৯) ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্স এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
ওমরের বাবা মীর সিদ্দিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ নেই।’ তিনি জানান, তার ছেলে কয়েক মাস আগে মিয়ামিতে দুজন পুরুষকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখে ভীষণ রাগান্বিত হয়। ওমরের বাবার ধারণা, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ওমর ওই হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।
এফবিআই কর্মকর্তা রন হপার বলেন, ‘তদন্তকারীরা চেষ্টা করছেন হামলার পেছনের মূল কারণটা খুঁজে বের করার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা, নির্দিষ্ট মতাদর্শে (ইসলামি উগ্রপন্থা) উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যক্তিগতভাবেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। তবে আমরা সবকিছুই খুঁটিয়ে দেখছি।’
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, সাইট ইন্টেলিজেন্স।
আরও পড়ুন:
ফ্লোরিডার নাইটক্লাবে হামলাকারী বউ পেটাতেন!
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলা
/এসএ/