ভেনেজুয়েলা সংকট এখন ভ্যাটিকানের মধ্যস্থতার পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে লেখা এক চিঠিতে একথা বলেন পোপ।
গত জানুয়ারির নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দেয়। নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। আর ব্যাপক এই বিক্ষোভের জেরেই গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। পোপের দেশ আর্জেন্টিনা এরইমধ্যে বিরোধী নেতা গুইদোকে সমর্থন দিয়েছে। মাদুরো আর গুইদো দু'জনের পক্ষ থেকেই সংকট মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিতে পোপের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তবে মাদুরো সংকট নিরসনে আলোচনার ডাক দিলে পক্ষ থেকে বলা হয়, আলোচনার একমাত্র শর্ত মাদুরোর পদত্যাগ।
চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শরণাপন্ন হন মাদুরো। এ ব্যাপারে সাহায্য চেয়ে পোপের কাছে একটি চিঠিও পাঠান তিনি। জবাবে পোপ বলেন, সবকিছুর আগে ভেনেজুয়েলার সাধারণ মানুষের কথা ভাবা উচিত। তিনি বলেন, ‘সংঘাতে সংশ্লিষ্ট সব দলকেই শান্তিও ঐক্যের পথ খুঁজতে হবে। ভেনেজুয়েলার ক্যাথলিক বিশপরও সেখানে শান্তিপূর্ণ ও কাঠামোবদ্ধ সমাধান খুঁজছে বলেও জানান তিনি।
মাদুরোর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ অপরাপর ইউরোপীয় দেশগুলো ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদোকেই দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এরইআগে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নতুন নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আল্টিমেটামকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়েছিলেন মাদুরো।