X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ড্রোন উত্তেজনা: আমিরাতের দূতকে তলব করলো তেহরান

বিদেশ ডেস্ক
২২ জুন ২০১৯, ২১:২৩আপডেট : ২২ জুন ২০১৯, ২১:২৭
image

ড্রোন উড্ডয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। তেহরানে নিযুক্ত আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে শনিবার (২২ জুন) ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে আগ্রাসী তৎপরতায় সহযোগিতার প্রতিবাদ জানানো হয়।

আমিরাত ও ইরানের পতাকা ওয়াশিংটন-তেহরান ধারাবাহিক উত্তেজনা চলমান থাকা অবস্থায় ক’দিন আগে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়,দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হরমোজগান রাজ্যের কুহমোবারক এলাকায় ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক’ নামের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরানের সেনাবাহিনী। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেন। জানান, যুদ্ধবিরোধী মনোভাব থেকে তিনি আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে। তাকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের যে ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় ভূপাতিত করা হয়েছে তা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে উড়ে এসে ইরানের সীমানায় প্রবেশ করেছিল। ইরানের পানি, স্থল ও আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য বিজাতীয় বাহিনীকে সহযোগিতা করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে ক্ষোভ জানানো হয়।

এর আগে শুক্রবার (২০ জুন) ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে এনে প্রতিবাদ জানায় তেহরান। ইরানের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ মার্কিন সরকারকে জানাতে বলেছে তেহরান। তেহরানে নিযুক্ত সুইস দূতাবাস ইরানে মার্কিন স্বার্থ দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) ইরানের আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিযাদেহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৪ মিনিটে আরব আমিরাতের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোনটি আকাশে ওড়ে। এরপর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভোর চারটায় ইরানের সীমানায় প্রবেশ করে। ড্রোনটিকে ভূপাতিত করার আগে কয়েকবার সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। সে সতর্কবার্তা না মানায় ভোর চারটা পাঁচ মিনিটে সেটিকে আঘাত করা হয়।

/এফইউ/
সম্পর্কিত
চাপে পড়ে অস্ত্রভাণ্ডার সীমিত করার পথে হিজবুল্লাহ
ইসরায়েলি বেষ্টনীতে বন্দি পশ্চিম তীরের সিনজিল, যেন এক বিশাল কারাগার
গাজায় যুদ্ধবিরতিট্রাম্পের ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস, নির্মূলের অঙ্গীকার ইসরায়েলের
সর্বশেষ খবর
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই ৪ খাবার
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই ৪ খাবার
সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ