যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ পূর্ব লন্ডনের বেকেনহাম আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার মেরিনা মাসুমা আহমেদ। বর্তমানে কনজারভেটিভ পার্টির দখলে রয়েছে আসনটি। গত দুই নির্বাচনে মেরিনা পরাজিত হলেও ক্রমাগত বেড়েছে তার প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ। ফলে সেই আশাতে ভর করে এবারে লেবার পার্টির হয়ে আসনটি জিতে নিতে চাইছেন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেওয়া মেরিনা।
গত ২০ বছর ধরে বেকেনহাম আসনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ব্যারিস্টার মেরিনা মাসুমা আহমেদ ও ডাঃ ইমরুল কায়েস দম্পত্তি। বাংলাদেশের পাবনার সন্তান কায়েস বেকেনহামেই জেনারেল প্রাকটিস করেন। তাদের দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে রেবেকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ছোট মেয়ে এলিজা হাইস্কুলে পড়ছেন।
বর্তমানে লন্ডনের ব্রমলি কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেরিনা। তিনি জানান, ছয় মাস বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে লন্ডনে আসেন তিনি। পরে তার বাবা মারা গেছেন আর মা মমতাজ বেগম এখন ঢাকায় বসবাস করেন। মেরিনার চার ভাই উচ্চশিক্ষা শেষে এখন ব্রিটেনেই কর্মরত আছেন।
মেরিনা যে আসনে লেবার পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই বেকেনহাম আসনটি মূলত কনজারভেটিভ পার্টির আসন। এ আসনের বর্তমান এমপি কনজারভেটিভ পার্টির বব স্টুয়ার্ট। গত দুই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেরিনা আহমেদ।
২০১৫ সালের নির্বাচনে বব স্টুয়ার্ট ২৭ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তিনি মোট ৫৭ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পান। ওই নির্বাচনে লেবার পার্টির মেরিনা পান ৯ হাজার ৯৮৪ ভোট। যা মোট ভোটের ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৭ সালের নির্বাচনে বব স্টুয়ার্ট ৩০ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। যা মোট ভোটের ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই নির্বাচনে ১৫ হাজার ৫৪৫ ভোট পান। যা মোট ভোটের ৩০ দশমিক এক শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে বব স্টুয়ার্ট ও মেরিনা আহমেদ ছাড়াও বেকেনহাম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রিন পার্টির লুথ ফেব্রিকান্ট, লিবারেল ডেকোক্র্যাটিক (লিবডেম) দলের চলে জেইন রোস।
নির্বাচিত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেরিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, গত ৯ বছরে এই আসনে কনজারভেটিভ পার্টি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
গত ত্রিশ বছর ধরে লেবার পার্টির সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতি করার কথা উল্লেখ করে মেরিনা বলেন, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্যই কাজ করেছি। সেভ দ্য চিলড্রেনের অর্থায়নে একটি উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থায় কাজের মধ্য দিয়ে দেশটির পথশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও ক্ষমতায়নে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি।