কাশ্মির নীতিতে সমর্থনের বিনিময়ে ভারতের বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েককে নিরাপদে দেশে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছিল দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। তবে ওই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছেন বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত জাকির নায়েক। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
ভিডিও বার্তায় জাকির নায়েক জানান, ভারত সরকারের একজন বিশেষ দূত তাকে ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পক্ষে তাদের দূতের দেওয়া ওই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
জাকির নায়েক বলেন, ‘ভারত সরকার তাদের এক প্রতিনিধির সঙ্গে আমাকে বৈঠকে বসতে বলেছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে ওই প্রতিনিধি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের নির্দেশে সোজা আপনার কাছে এসেছি। আপনি যাতে নিরাপদে ভারতে ফিরতে পারেন, সেজন্য তারা ব্যবস্থা করবেন। বিনিময়ে তারা আপনার মাধ্যমে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান।’
জাকির নায়েক জানান, ভারতে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম নেতাকে হুমকি দিয়ে বা প্ররোচিত করে সরকারের পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে-র পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
ভারতের আদালতে অর্থ পাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। ২০১৮ সালে দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তদন্ত হয়। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে তার বক্তব্য দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জাকির নায়েককে দেশে ফেরাতে ফের তৎপর হয়েছে দিল্লি। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করেছে দেশটি।