X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরাকে মার্কিন দূতাবাসের অভ্যন্তরে রকেট হামলা

বিদেশ ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৯আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:১৯

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুরক্ষিত এলাকা গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের অভ্যন্তরে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই অঞ্চলে পাঁচটি রকেট আঘাত হানে। এর মধ্যে তিনটি রকেট সরাসরি মার্কিন দূতাবাসে আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এফপি। মার্কিন যৌথ অভিযান কমান্ড দাবি করেছে, এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। জানুয়ারিতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ওই দূতাবাস লক্ষ্য করে হামলা হলেও এবারই প্রথম সরাসরি দূতাবাস ভবন আক্রান্ত হলো।

বাগদাদে বিক্ষোভের মধ্যে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে

ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর ইরাকের বিক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়ে আবারও তা জোরালো হয়ে ওঠে। বিদেশি হস্তক্ষেপমুক্ত প্রশাসনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে ইরাকি নাগরিকেরা। ওই বিক্ষোভের মধ্যে রবিবার মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটলো। কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার পরপরই এর নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী। এই ধরনের ‘আগ্রাসন’ চলতে থাকলে ইরাক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। অপর এক বিবৃতিতে দূতাবাসরে সুরক্ষা নিশ্চিতে ইরাকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনা বেড়েছে। ইরান এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর গত ৪ জানুয়ারি (শনিবার) রাতে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে রকেট হামলা হয়। উত্তরাঞ্চলীয় এক প্রদেশে মার্কিন সেনা অবস্থান করা এক বিমানঘাঁটিতেও রকেট হামলার খবর পাওয়া যায়। পরদিন ৫ জানুয়ারি (রবিবার) টানা দ্বিতীয় রাতের মতো বাগদাদের গ্রিনজোনে রকেট হামলা চালানো হয়। কয়েকদিন পর ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আবারও হামলা চালানো হয় মার্কিন দূতাবাসে। 

১২ জানুয়ারি (সোমবার) বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যরা অবস্থান করছে এমন একটি সামরিক ঘাঁটিতে আবার রকেট হামলা চালানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ও ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) আবারও হামলা চালানো হয়। 

/জেজে/এমএমজে/বিএ/
সম্পর্কিত
চাপে পড়ে অস্ত্রভাণ্ডার সীমিত করার পথে হিজবুল্লাহ
ইসরায়েলি বেষ্টনীতে বন্দি পশ্চিম তীরের সিনজিল, যেন এক বিশাল কারাগার
গাজায় যুদ্ধবিরতিট্রাম্পের ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস, নির্মূলের অঙ্গীকার ইসরায়েলের
সর্বশেষ খবর
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই ৪ খাবার
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এই ৪ খাবার
সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ