তরুণ আরবদের মধ্যে আইএস বিরোধিতা বাড়ছে। তারা মনে করছেন আইএস প্রতিষ্ঠিত ‘খেলাফত’ অচিরেই ভেঙে পড়বে। তরুণ আরবদের মধ্যে চালানো এক জরিপে এমনটাই দেখা গেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশই আইএস-কে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে মনে করেন। তারা কর্মক্ষেত্রের অপ্রতুলতাকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োগের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন: এক আইএস সন্ত্রাসীর কন্যার আর্তনাদ
আরব ইয়ুথ সার্ভে ২০১৬ অনুসারে, ১৩ শতাংশ তরুণ আরব জানিয়েছেন, ব্যাপক সহিংস তৎপরতা বন্ধ করলে তারা আইএস-কে সমর্থন করতে পারেন। গত বছর তা ছিল ১৯ শতাংশ। জরিপে অংশ নেওয়াদের অর্ধেকই আইএস-কে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন। গত বছর ৩৭ শতাংশ তরুণ আরব এমনটা মনে করতেন।
তবে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৩ শতাংশ মনে করেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেয়েও স্থিতিশীলতা বেশি জরুরি। মাত্র ২৮ শতাংশ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রচারণার পক্ষে মত দেন। ২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’-এর সময়ে চালানো জরিপে দেখা যায় যে, ৯২ শতাংশ তরুণ আরব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রচারণার পক্ষে মত দেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলস হামলায় বেলজিয়ামের উদাসীনতাকে দায়ী করলেন এরদোয়ান
জরিপ চালানো ১৬টি দেশের মধ্যে ৮টিতেই বেকারত্বকে আইএস থেকেও বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কর্মক্ষেত্রের অপ্রতুলতাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োগের প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী আরবদের এক-চতুর্থাংশই কর্মহীন। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন-এর মতে, প্রায় সাড়ে সাত কোটি তরুণ আরব বেকার।
আরও পড়ুন: শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে আইএস
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা পেন শোয়েন বারল্যান্ড ওই জরিপটি পরিচালনা করে। আরব ইয়ুথ সার্ভে ২০১৬-এ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৩ হাজার ৫০০ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের ১৬টি দেশে জরিপ চালানো হয় – আলজেরিয়া, বাহরাইন, মিশর, ইরাক, জর্দান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, করক্কো, ওমান, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, তিউনিশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং ইয়েমেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এসএ/