প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বৈঠকে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ভারতের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর। ভারতের নজিরবিহীন যে চাপের মধ্যে বিচারকদের কাজ করতে হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি এ অবস্থায় পড়েন। মানুষ ও মামলার সংখ্যায় তুলনায় বিচারকদের সংখ্যার কথা তুলে ধরে টিএস ঠাকুর জানান, সরকারের উচিত বিচারকের সংখ্যা ২১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দেশটির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠকে টিএস ঠাকুর বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্যই আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। আমি সরকারে কাছে আবেদন জানাচ্ছি, বিষয়টি বিবেচনা করুন। পুরো দায়ভার বিচার বিভাগের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: প্রাচীন এক মসজিদে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন কেরালার নারীরা
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘ভারতের বিচারপতিরা বছরে ২ হাজার ৬০০ মামলার বিচার করেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বিচারপতিরা বছরে ৮১টি মামলার রায় দেন। বিচারপতিদের সামর্থ্যেরও একটা সীমা রয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও জানান, ১৯৮৭ সাল থেকেই প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য ১০ জন বিচারপতির স্থলে ৫০ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোট
বিচারপতি ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের জন্য কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপনের পরিকল্পনাকে সমালোচনা করে বলেন, ‘বর্তমান কাঠামোর মধ্যে থেকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে এর কোনও ফলাফল আসবে না।’
প্রধান বিচারপতির আহ্বানের প্রেক্ষিতে মোদি জানান, সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে। তিনি বিচারপতিদের ছুটি কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন। সূত্র: এনডিটিভি
/ইউআর/এএ/