করোনাভাইরাস লকডাউন শেষে দর্শনার্থীদের আবারও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আইফেল টাওয়ার। তিন মাস পর আজ (২৫ জুন) এটি খুলছে।
তবে সুস্থতার কথা ভেবে ও সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে লিফটগুলো কিছু সময়ের জন্য সীমিত থাকবে। কারণ লিফটসহ বদ্ধ জায়গা জীবাণু সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত দর্শনার্থীরা আইফেল টাওয়ারের দোতলার বেশি ওপরে যেতে পারবেন না। সেই পর্যন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে তাদের। ১১ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য মুখে মাস্ক রাখা বাধ্যতামূলক।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিখ্যাত এই স্থাপনার ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে কর্মীরা সবাই নিজেদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরুর আগে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছেন।
টাওয়ারের নিচে করোনাভাইরাস মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু পরামর্শের স্ট্যান্ড। যেমন— দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার, কাশি বা হাঁচি এলে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা, টিস্যু ব্যবহার করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সারি বেঁধে দাঁড়াতে নীল রঙা বৃত্ত রয়েছে। এর মাঝে ফরাসি ভাষায় লেখা ‘ওয়েট’ অর্থাৎ অপেক্ষা করুন। সিঁড়িসহ সবখানে নীল রঙা বৃত্তে লেখা, ‘নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।’
টাওয়ার থেকে প্যারিসের চারপাশ দেখার জন্য ব্যবহৃত দূরবীণসহ সবকিছুতে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে।
আইফেল টাওয়ারের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান সেত (এসইটিই)-এর পরিচালক প্যাট্রিক ব্রাঙ্কো রুইভো বলেন, ‘মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুরক্ষা ব্যবস্থা। সেজন্যই আমরা সামাজিক দূরত্বের প্রচারণা চালাচ্ছি।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ১৩ মার্চ থেকে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল আইফেল টাওয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) পর কখনও এতটা সময় ধরে বন্ধ ছিল না পর্যটকদের প্রিয় জায়গাটি।
১০ টন মেটাল ব্যবহার করে আইফেল টাওয়ারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৮৮৯ সালে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হওয়া পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতি বছর ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ এখানে বেড়াতে আসে।
তথ্যসূত্র: এএফপি, রয়টার্স, এপি