ঝালকাঠির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘ভুয়া মামলা’ করে জেল খাটানোর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত।
রবিবার (৬ জুন) বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে ঝালকাঠি থানার রাজাপুরের রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাকির হোসেন নামক একজনকে ভুয়া বাদি সাজিয়ে ধানমণ্ডির ঠিকানা দিয়ে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়। পরে ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠানো হয়। এর ৮ দিন পর জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে ওই ব্যক্তি খোঁজ নিয়ে বাদির ঠিকানা ও ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব পাননি। একইসঙ্গে জানতে পারেন ব্যবসায়িক শত্রুতাবশঃত কয়েকজন লোক এই সাজানো মামলাটি করেছেন।
পরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে রফিকুল আদালতে আবেদন করেন। এরপর বাদির ঠিকানা যাচাইয়ের আদেশ দেওয়া হয় এবং পুলিশের প্রতিবেদনে ঠিকানার অস্তিত্ব নেই বলে উল্লেখ করা হয়।
তাই এই মামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ও প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম। হাইকোর্ট সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশসহ রুল জারি করলেন।